Thursday, June 18, 2020

পেনডামিক নয়,- ডেমপ্যানিক

করোনা ভাইরাস নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়া যখন প্রথম চিল্লাচিল্লি শুরু করলো,
তখন রিপাবলিকানরা একে
পেনডামিক এর বদলে নাম দিলো- ডেমপ্যানিক।
PANDEMIC এর মাঝের DEM আগে নিয়ে আসলো, আর বাকি দুই পাশের অক্ষরগুলো জুড়ে দিলে হয় প্যানিক। ডেম হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিকদের সংক্ষিপ্ত রূপ। অর্থাৎ তারা বুঝাতে চাইলো, মিডিয়াতে করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা হলো ডেমোক্র্যাটিকদের বানানো প্যানিক। এন্টি ডেমোক্র্যাটিক বিশেষ করে রিপাকলিকানরা নিশ্চিত ছিলো, এটা হচ্ছে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস করার জন্য ডেমোক্র্যাটিক প্ল্যান (রিপাবলিকানরা ব্যবসায় আধিপত্য)। এছাড়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড এন্টি ডেমোক্র্যাটিক ব্লকদের আধিপত্য বাড়তে থাকায়, তাদের একটা নাড়াচাড়া দেয়া এবং সর্বপরি ক্রাইসিস ক্রিয়েট করে নতুন রাজনৈতিক ধারার সুযোগ নেয়ার উদ্দেশ্য ছিলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যদের।

কিন্তু ততদিনে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। মিডিয়া পাবলিককে এতটা উত্তেজিত করে ফেললো যে বিষয়টি ঘুড়ানো রিপাবলিকান বা অন্যদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না। তাই তারা নতুন ফন্দি আটলো। তারা চিন্তা করলো ডেমোক্র্যাটিকরা করোনাকে নিয়ে যে পাবলিককে উত্তেজিত করেছে, এটাকে এখন না আটকিয়ে বরং তারা সেটাকে ব্যবহার করবে, মনে কৌশলে তারা চালকের আসনে বসে পড়বে। এবং ডেমোক্র্যাটিকদের হাটিয়ে তারা সেখান থেকে ফায়দা নেবে।

লক্ষ্য করবেন- এন্টি ডেমোক্র্যাট ব্লকগুলো প্রথমে কিন্তু করোনাকে পাত্তা দিচ্ছিলো না, কিন্তু হঠাৎ করে তারা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করলো। এটা যেমন,ইউরোপের রিপাবলিকান ব্লক সদস্যরা করেছে, ঠিক তেমন করেছে আমেরিকার ট্র্যাম্প, আর বাংলাদেশে করছে শেখ হাসিনা। অর্থাৎ লাগাম ডেমোক্র্যাটিকদের হাত থেকে নিয়ে তারা এই গেম থেকে ফায়দা লুটবে।

যেহেতু, করোনা বিষয়টি ফুলিয়ে প্রচারের উদ্দেশ্য ছিলো বিপরীত রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া, সেহেতু এক্ষেত্রে প্রথম দরকার ছিলো নিজেদের দলের অর্থনীতি বাচাতে প্যাকেজ ঘোষণা। এক্ষেত্রে ট্র্যাম্প ঘোষণা করেছে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ, শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছে ৭২ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। এগুলো দিয়ে মূলত তারা নিজেদের দলের ব্যবসায়ীদের সেভ করবে। অর্থাৎ সবাই মারা পড়লেও প্রনোদনা পেয়ে নিজের দলের ব্যবসায়ীরা টিকে যাবে। তাই এখন যতই ক্ষতি হোক আওয়ামীপন্থীদের এটা নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নাই। সবাই মরলেও তারা আপাতত সেফ।

তবে কারোনার কারণে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে ভালো যে কাজটা হবে, সেটা হলো- এতদিন তারা যে দুর্নীতি করেছে, তার সবটাই ঢাকা পড়বে। তাদের অত্যাধিক দুর্নীতি ও ভুল অর্থনৈতিক পলিসির কারণে বড় ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা আসন্ন ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে এখন যা হবে, তার সবটাই করোনার ঘাড়ে তারা চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা সাধু সাজতে পারবে। লুকিয়ে যাবে, তাদের সকল অর্থনতৈকি লুটপাটের চিত্র। বরং ১ মাস পর যখন এমনিতেই পরিবেশগত করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তার সবটাই ক্রেডিট নিয়ে নেবে নিজের ঘাড়ে। এছাড়া অনুদান, আর রাজনৈতিক একচেটিয়া প্রচারণার সুবিধা লাভের কথা না হয় বাদই দিলাম।

আমি বলবো-
বাংলাদেশে আগের করোনার ঘোষণা আর এখনকার করোনার ঘোষণার মধ্যে যথেস্ট তফাৎ আছে। এখন ব্রিফিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো আতঙ্ক ছড়ানো। কালকে একটা ভিডিও দেখলাম, সেখানে ব্রিফিং দাতা, ব্রিফিং শেষ হওয়া মাত্র ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেছে এই আশায় মুখের মাস্ক ছুড়ে ফেললেন। অর্থাৎ তিনি ক্যামেরায় মাস্ক পড়েছিলেন, সচেতন হওয়ার জন্য নয়, বরং পাবলিককে দেখানোর জন্য।

বিশেষ করে এখন যে আক্রান্তের ঘোষণা আসছে, এটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
এছাড়া যাদের মৃত্যুর খবর আসছে, তাদের মৃত্যু নিয়েও সন্দেহ আছে।
আসলে যারা মারা গিযেছে, তারা কি কারণে মারা গিয়েছে, সেটা অজ্ঞাত করা হচ্ছে, মূল কথা প্রকাশ করা হচ্ছে না। পুরো বিষয়টির মধ্যে ঘোলাটেপনা আছে।

সমস্যা হচ্ছে, পাবলিক উত্তেজিত আর আবেগী।
আর নতুন স্টিয়ারিং আর গিয়ার পাওয়া আওয়ামীলীগ সেই সুযোগ পূর্ণ রূপে গ্রহণ করেছে।
আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা কমবেশি করে মটরসাইকেলের মত গিয়ার দেয়, আর পাবলিক ‘ভো ভো’ করে লাফ দিয়ে উঠে।

0 comments:

Post a Comment