Thursday, June 18, 2020

ইথোফেন বা কার্বাইড দিয়ে আমরা পাকালে তা বিষাক্ত হয় না।

কলাবিজ্ঞানী মানে আর্টস বা মানবিক বিভাগে পড়া বিজ্ঞানীদের কাজ,
যার বিরুদ্ধে আমি বহু বছর ধরেই সোচ্চার।
গতকাল রাজধানীর বাতামতলী কলাবিজ্ঞানীদের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ৪০ টন আম জব্দ করেছে, ৪১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। (https://bit.ly/2Wq61e1)

তাদের দোষ তারা কার্বাইড দিয়ে আম পাকিয়েছে।
খবরের শিরোনাম নিশ্চয়ই দেখছেন- “করোনার মধ্যেও ফলে বিষ দিচ্ছে তারা!”
অথচ কলাবিজ্ঞানীরা জানেই না, কার্বাইড দিয়ে কিভাবে আম পাকায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে পাকানোর সাথে এর কোন পার্থক্য নেই। ফলে এখানে বিষাক্ত কিছুই নেই।
এটা নিয়ে অনেকবার বিশেষজ্ঞরা বলেছে,
ইথোফেন বা কার্বাইড দিয়ে আমরা পাকালে তা বিষাক্ত হয় না।
(https://bit.ly/3fHLyJg)

কিন্তু কে শোনে কার কথা ?
করোনা নিয়ে যেমন কলাবিজ্ঞানীরা গো ধরে বসে আছে,
আম নিয়ে গো ধরে বসে আছে।
এ্ কলাবিজ্ঞানাদের বুঝাবে কে ?
অনেক ফলই এমনভাবে বাইরে থেকে কৃত্তিমভাবে পাকানো হয়,
এতে বিষাক্ত কিছুই হয় না।
কৃষিবিদ্যায় এটা বহু আগে থেকে স্বীকৃত।

হ্যা যে আম কিনবে সে তো, টেস্ট করেই কিনবে।
আমের দাম তো ফিক্সড নেই।
আপনি যদি গাছপাকা আম কিনতেই চান, তবে আরো অপেক্ষা করুন।
আরেকজনের ব্যবসা কেন নষ্ট করছেন ?
একজন ব্যবসায়ীকে ধ্বংস করা মানে তার অধীনে যতগুলো লোক চাকুরী করে সবাইকে বেকার বানানো।

কি বলবেন ? তারা মানুষকে ধোকা দিচ্ছে ?
এসব আমে পুষ্টিগুন নেই। ইত্যাদি।
কেন আপনারা কি পুষ্টিগুন টেস্ট করেছেন ?
আমে স্ট্যান্ডার্ড পুষ্টির মাত্রা কত ?
টেস্ট করে দেখেন, যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কম পুষ্টিগুন থাকে, তখন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, এর আগে মিথ্যা বিষাক্ত ট্যাগ দিয়ে ধ্বংস করছেন কেন ?

আর স্ট্যান্ডার্ডের তুলনা করলে বলতে হয়-
-ব্র্যাকের আড়ং যে দুধ বিক্রি করছে, সেখানে কত পার্সেন্ট দুধ আছে?
-ইউনিলিভারের লাক্সে যে গোলাপের ছবি দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে কি সত্যিই গোলাপ মিশ্রিত আছে?
-প্রথম আলো ৯ মে তারিখে ট্রান্সকমের এসকেএফের রেমডেসিভিরকে যে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেব প্রচার করলো তার শাস্তি কোথায়?
র‌্যাবের সারোয়ার আলম তখন কেন অভিজান করলো না?
মাহবুব কবির মিলন সেটা নিয়ে কেন কোন স্ট্যাটাস দিলো না ??
আসলে আইন ও নিয়ম হচ্ছে শুধু গরীবের বেলায়।
যারা উপর তলা বা নিজেদের লোক তাদের জন্য মিডিয়াও নেই, আইনও নেই।

উল্লেখ্য লাক্স-আড়ং এর জামা কিংবা রেমডিসিভিরের দাম কিন্তু ফিক্সড, সেখানে দরদামের সুযোগ নাই, কিন্তু আমে দরদাম করার সুযোগ আছে। আবার ঐ কোম্পানিগুলো কিন্তু প্রকাশ্যে মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়, কিন্তু আমওয়ালা কিন্তু বিজ্ঞাপন দেয় না। যারা প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফিক্সড প্রাইজ করতেছে, তাদের তো আগে ধরা উচিত।

উল্লেখ্য এর আগে মিডিয়া ফরমালিন গুজবে রটিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে ৪০ হাজার টন মাছ-ফল ধ্বংস করে বহু সাধারণ ব্যবসায়ীকে পথে বসায়। পরে প্রমাণ হয়, ঐ মেশিনেই সমস্যা ছিলো। (https://bit.ly/3fDbQfA)

আসলে মানুষ এসব কলাবিজ্ঞানীদের কথা শুনে ভাবে- মনে হয় অনেক উপকৃত হচ্ছে,কিন্তু কলাবিজ্ঞানীদের আলটিমেট লক্ষ্য জনগণের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা।
তারা এর নাম দিয়েছে ‘প্ল্যানড ইকোনোমি’।
শুনতে কথাটা সুন্দর। কিন্তু কথিত প্ল্যানের নামে তারা সাধারণ ব্যবসায়ীদের ফেলে দিয়ে শুধু নিজেরা ব্যবসা করবে।
অর্থাৎ তারা হবে মালিক, আর বাকিরা হবে তাদের চাকুরে বা চাকর।
অন্য কোন মালিককে তারা সহ্য করবে না।

0 comments:

Post a Comment