Thursday, June 18, 2020

রীক্ষার হারের তুলনায় সনাক্তের হার কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে একই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণের হার যদি খেয়াল করেন,
তবে দেখবেন দীর্ঘদিন কিন্তু তা একই মাত্রায় রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ যে খুব লকডাউন-সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনেছে তা নয়,
কিন্তু তারপরও পরীক্ষার হারের তুলনায় সনাক্তের হার কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে একই।
অর্থাৎ যে হারে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই অনুপাতেই করোনা ধরা পড়েছে,
খুব বেশি তার পরিবর্তন হয় নাই।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ১১৬৯১৯টি
এবং সনাক্ত হয়েছে ১৩৭৭০ জন।
অর্থাৎ শতকরা হিসেবে দাড়াচ্ছে ১১% বা ৯ জনের পরীক্ষায় ১ জন করোনা ধরা পড়েছে।
এই গড় হিসেবটা কিন্তু বহুদিন ধরে প্রায় একই রয়েছে, বৃদ্ধি পায়নি।

কথা হচ্ছে, মানুষকে শেখানো হচ্ছে-
বাংলাদেশে গার্মেন্টস খুললে করোনায় লাশের স্তুপ পড়বে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জানাজায় জমায়েত হলে লাশের স্তুপ পড়বে,
মসজিদ খুললে করোনার লাশের স্তুপ পড়বে,
শপিং কমপক্স খুলরে লাশের স্তুপ পড়বে,
গণ পরিবহন খুললে লাশের স্তুপ পড়বে,
এগুলো ফালতু ও প্রমাণ বিহীন কথা ছাড়া কিছু নয়।

বরং সব কিছু খুলে স্বাভাবিক করে দেন,
কেউ করোনায় আক্রান্ত হোক আর না হোক,
তাকে ঠিক মত চিকিৎসা নিতে দেন,
আতঙ্ক হ্রাস করুন, যাতায়াত সহজ করুন।
তখন দেখবেন- এখন দেশে যে মৃত্যু হচ্ছে (করোনা বা করোনা ছাড়া)
তা আরো কমে আসবে।
কারণ যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ, হাসপাতাল চিকিৎসাহীন,
আতঙ্কে মানসিক সমস্যা বৃদ্ধির কারণেই বরং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

কয়েকদিন আগে সুইডেন সরকার একটা নির্দেশনা জারি করেছিলো,
নির্দেশনাটা ছিলো-
ডাক্তাররা যখন করোনা রোগীর কাছে যায়, তখন তারা মুখের সামনে এক ধরনের স্বচ্ছ প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে । ডাক্তাররা আগে এই প্ল্যাস্টিকের শিটের ভেতর আবার মাস্ক পড়তো।
নির্দেশনায় বলা ছিলো- যেহেতু প্লাস্টিকের শিট আছে, তাই মাস্কের কোন দরকার নাই।
কারণ ডাক্তার মাস্ক পড়লে রোগী আরো বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হবে, যা রোগীর জন্য ক্ষতিকর।

এখানে কিন্তু আমাদের জন্য শিক্ষা আছে।
করোনা নিয়ে আমাদের আতঙ্ক হ্রাস করতে হবে।
কিন্তু আতঙ্কবাদীরা শুধু আতঙ্কই তৈরী করতে চাচ্ছে,
অমুক হইলে লাশের স্তুপ পড়বে, তমুক হইলে লাশের স্তুপ পড়বে।
কিন্তু জনসমাগম হইলেই যদি লাশের স্তুপ পড়তো, তবে বাংলাদেশ হইতো সবচেয়ে বেশি লাশের স্তুপের দেশ। বস্তিগুলোতে আপনি লাশের স্তুপ গুনে শেষ করতে পারতেন না। কিন্তু তার কিছুই হয়নি বাংলাদেশে।

তাই অযথা আতঙ্ক তৈরী না করে সব স্বাভাবিক করুন,
বিশেষ করে গণ পরিবহণ চালু করে, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করুন,
মানুষের কষ্ট লাঘব করুন।

0 comments:

Post a Comment