Saturday, December 29, 2018

বাংলাদেশের মুসলমানরা যেহেতু বহুদলে বিভক্ত, তাই তারা কোন নেতাকে কেন্দ্র করে একত্রিত না হয়ে, একটা পলিসির উপর একত্রিত হোক, তাহলে দ্রুত কাজ হবে।

এক পোস্ট আগে আমি বলেছিলাম,
বাংলাদেশের মুসলমানরা যেহেতু বহুদলে বিভক্ত, তাই তারা কোন নেতাকে কেন্দ্র করে একত্রিত না হয়ে, একটা পলিসির উপর একত্রিত হোক, তাহলে দ্রুত কাজ হবে। কোন ইসলামী রাজনৈতিক দল থাকতে পারে, কিন্তু সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আসলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল অধিকাংশ স্থান দখল করে আছে এবং তৃতীয় কোন দল তৈরী হলে (যদি তার ব্যাপক জনসমর্থন বা গ্রহনযোগ্যতা থাকে) হয় সেটাকে তারা নিজের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করবে, নয়ত দমন করার চেষ্টা করবে। তাই অন্তর্ভূক্তি বা দমন, এই দুইয়ের মধ্যে না গিযে কিভাবে নিজের স্বার্থ সর্বোচ্চ আদায় করা সেদিকে লক্ষ্য দেয়া সবচেয়ে জরুরী।
আমি আগেও বলেছি, রাজনৈতিক দল গঠন না করেও দাবি তাড়াতাড়ি আদায় করা সম্ভব,
এর উদাহরণ- কোটামুক্ত আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কিংবা হেফাজতে ইসলাম।
এ আন্দোলনগুলো যে যে উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছিলো, তাদের প্রাথমিক দাবীগুলো কিন্তু ঠিকই আদায় হয়েছে।
কিন্তু- এ আন্দোলনগুলো ততক্ষণ সফল থাকে, যতক্ষণ আন্দোলনটা অরাজনৈতিক থাকে।
সমস্যা তৈরী হয় তখন, যখন এ ধরণের অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটে এবং অরাজনৈতিক দাবী ছাপিয়ে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক পক্ষ তা ব্যবহার করতে চায়। ফলশ্রুতি পতন ঘটতে পারে সুন্দর একটি আন্দোলনের। শুনেছিলাম, সাপ নাকি তখনই ছোবল মারে, যখন সে মনে করে কেউ তার ক্ষতি করতে এসেছে। তাই আন্দোলনগুলো যেন নির্দ্দিষ্ট দাবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং অন্য কোন রাজনৈতিক দলের দাবী (প্রতিপক্ষকে দমনের) যেন আন্দোলনের দাবী না হয়ে উঠতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী।
ধরে নিলাম, মুসলমানরা প্রাথমিকভাবে একটা দাবীর উপর এক হলো। ধরুন, দাবীটি হতে পারে, “সংবিধানে ২০১১ সালে আল্লাহ’র উপর আস্থা ও বিশ্বাস অংশটা তুলো ধর্মনিরপেক্ষতা যোগ করা হয়েছে, সেটা পরিবর্তন করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসা।”
যদি দাবীটির ধর্ম সংক্রান্ত হয় তবে ইসলামী দলগুলোর সবাইকে সেই দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। সমস্যা হলো বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে তো চরম বিভেদ, তারা একজন অন্যজনকে মারাকেই জিহাদ বলে ফতওয়া দেয়, তাহলে তারা এক হবে কিভাবে ?
উত্তর হলো, প্রত্যেক দল থেকে কিছু কিছু তরুণকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে তারা, যারা চায় সারা বিশ্বে মুসলমানরা আবার এক হোক, মুসলমানদের পুরাতন ঐতিহ্য আবার ফিরে আসুক, মুসলমানরা অমুসলিমদের জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষা পাক, এরাই এক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে। অবশ্যই এক দলের সদস্যের অন্য অন্য দলের মধ্যে বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়তা আছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করুক- “আজকে থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে অন্তদ্র্বন্দ্ব তৈরী হতে পারে এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবো, যে যারা পন্থা অবলম্বন করবো, কিন্তু একটি দাবীর উপর একত্রিত হবো, দাবীটি হলো, “সংবিধানে ২০১১ সালে আল্লাহ’র উপর আস্থা ও বিশ্বাস অংশটা তুলো ধর্মনিরপেক্ষতা যোগ করা হয়েছে, সেটা পরিবর্তন করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসা।” এই দাবী ছাড়া অন্য কোন বিষয় আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হবে না। এই দাবীর উপর আমরা একত্র হলাম এবং এই দাবীর পক্ষে আমরা বন্ধু হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো। “ আমার মনে হয়, এভাবে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে তরুণরা একটা দাবীকে কেন্দ্র করে যদি চেইন বা শিকল তৈরী করতে পারে, তবে দাবী আদায়ে বেশি সময় লাগবে না।
আমার জানা মতে,
-কওমী মাদ্রাসা ও আহলে হাদীসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে মাজহাব নিয়ে। তাহলে দুই দল একত্র হোন ঐ সংবিধান পরিবর্তনের দাবী নিয়ে, কিন্তু আপাতত মাজহাব নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যান।
-সুন্নী আর কওমী মাদ্রাসা ও আহলে হাদীসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিলাদ বা মীলাদুন্নবী নিয়ে। এ বিষয়টি এড়িয়ে যান, শুধু ‘সংবিধান পরিবর্তনের দাবী’ নিয়ে একত্মতা ঘোষণা করুন।
-পীরকেন্দ্রীক ও পীর বিরোধী দলের দ্ব্ন্দ্বমূলক বিষয়গুলো এড়িয়ে যান, শুধু ‘সংবিধান পরিবর্তনের দাবী’ নিয়ে একত্মতা ঘোষণা করুন।
হতে পারে আপনাদের দলের কোন মুরব্বী বা বয়ঃবৃদ্ধ বলতে পারেন, “এটা কিভাবে সম্ভব, এতদিন আমরা আমাদের বিশ্বাসের উপর এক ছিলাম, এখন কিভাবে ভিন্ন বিশ্বাসের সাথে এক হবো?”
আপনি উত্তর দিবেন, “অবশ্যই সম্ভব। আমরা তো আমাদের বিশ্বাস নিয়ে কাড়াকাড়ি করছি না। আমরা যে বিশ্বাস বা দাবীর প্রতি একতাবদ্ধ হয়েছি, সেটা তো ঠিক আছে, তাহলে সমস্যা কোথায় ? আর এত দলাদলি করে কি লাভই বা হলো ? দল-উপদলের সংখ্যা তো দিনে দিনে বাড়ছেই। কওমী, আহলে হাদীস, সুন্নীদের মধ্যে কি অভ্যন্তরীণ দলাদলি বা গ্রুপিং নেই? বরং মুসলমানদের দলে দলে বিভক্ত করে অমুসলিমরা তো ঠিকই মুসলমানদের ঘাড়ে বসে ছড়ি ঘুড়াচ্ছে।
আমার মনে হয়,
প্রত্যেক দল থেকে যদি কিছু তরুণ সদস্য পরিবর্তনের শপথে এগিয়ে আসে,
মুসলমানদের এক করে অমুসলিম ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার চেষ্টা করে,
বিশ্বাসগত দ্বন্দ্ব নিয়ে আপাতত চুপ থেকে ‘বিশেষ দাবী’র উপর একত্র হতে থাকে এবং বিভন্ন দলের মধ্যে চেইন বা শিকল তৈরী করে, তবে খুব দ্রুত মুসলমানদের আসল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব এবং সেটা খুব দ্রুত-ই সম্ভব ।
ইচ্ছা শুধু আপনার।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

1 comment:

  1. Policy ta howa uchit, Muslim hishabe shobai Islamic State(Khilafah) chai.

    ReplyDelete