Saturday, December 29, 2018

মুসলমানরা এক হউন, নয়ত নির্যাতিত হতেই থাকবেন। কিন্তু মুসলিম হয়ে অমুসলিম প্রার্থীকে ভোট দিলে কখনই সেই লক্ষ্য সফল হবে না।


নির্বাচনী প্রচারণা যখন শুরু হয়, তখন এক উগ্রহিন্দু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, “আওয়ামীলীগ-বিএনপি যেই হোক, হিন্দু প্রার্থীকে ভোট দেয়া চাই।”
অর্থাৎ হিন্দুরা সংখ্যায় কম হওয়ায় তারা ভিন্ন পলিসি গ্রহণ করে, তারা কোন একদলকে সাপোর্ট দেয় না, দুই দলের মধ্যে ঢুকে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করে, আর মুসলমানদের বিরোধীতা করে। যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তবে তাদের কি করতে হবে, আর যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে তাদের কি করতে হবে, সেই প্ল্যান আগে থেকেই তারা করে রাখে।
হিন্দু যে দল করুক বা যে দলের সমর্থন করুক, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, সমস্যা হলো যখন তারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশ ও সংখ্যালগরিষ্ঠ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অথচ এতকিছু করার পরও তা লুকিয়ে মুসলমানদের থেকে সুবিধা তালাশ করে।
গত কয়েক বছর যারা সংবাদের খবর রাখেন, তারা জানেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সংসদ সদস্য মেন্দি সাফাদি বেশ কিছুদিন যাবত বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এই ড্রুজ ধর্মাবলম্বী সিরিয়ায় মুসলমানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বাধাতে ভূমিকা রেখেছিলো, এখন সেই মিশন শেষ করে এসেছে বাংলাদেশ নিয়ে খেলতে। বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ থেকে মাগুরা-২ আসনে মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী বীরেন শিদকারের সাথে তার ঘনিষ্ট ছবি মিডিয়ায় পাওয়া যায়। আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় গেলে বীরেন শিকদারের মাধ্যমে সাফাদি চাল চালবে না, সেটা কিন্তু বলা যায় না।
বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা-৬ আসনে দাড়ানো সুব্রত চৌধুরীও উগ্রহিন্দুত্ববাদী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে প্রধান আইনজীবি হিসেবে কাজ করেছিলো সে, যদিও মুসলমানদের তৎপরতায় সফল হয়নি। এই উগ্রহিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি যদি সংসদে যায়, তবে নির্ঘাৎ ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে পিছুপা হবে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে মাদারীপুর-২ আসন থেকে দাড়িয়েছে মিল্টন বৈদ্য নামক এক হিন্দু। ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট শিপন কুমার বসু (যে আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী হেপি বড়ালের ভাতিজা)- এর সাথে মিল্টন বৈদ্যের ঘণিষ্ট ও পারিবারিক ছবি ফেসবুকে পাওয়া যায়। একজন এমপি পদ মনোনিত প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী মোসাদ এজেন্টের সাথে সম্পর্ক থাকায় তাকে কিছুতেই সমর্থন করা স্বাভাবিক হতে পারে না।

আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বড়দল সরকারপাড়া গ্রামে সাঁওতাল হিন্দু ও স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হিন্দুদের ছোড়া তীরের আঘাতে শাফিউল ইসলাম (২০) নামের এক মুসলিম তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় হিন্দুদের পক্ষে পেছন থেকে কাজ করেছিলো দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, যে এবারও একই আসন থেকে আওয়ামীলীগ পদপ্রার্থী।

আমি সব সময় বলি, মুসলমানরা এক হউন, নয়ত নির্যাতিত হতেই থাকবেন। কিন্তু মুসলিম হয়ে অমুসলিম প্রার্থীকে ভোট দিলে কখনই সেই লক্ষ্য সফল হবে না। আপনারা আওয়ামীলীগকে ভোট দেন, কিংবা বিএনপিকে ভোট দেন বা পছন্দের অন্যদলকেও ভোট দিতে পারেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু বিভিন্ন দল থেকে দাড়ানো হিন্দু, খ্রিস্টান ও উপজাতি প্রার্থীদের বয়কট করুন। মনে রাখবেন আপনি মুসলমান হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দলকে সাপোর্ট করতে পারেন, কিন্তু তারা ভিন্ন ভিন্ন দলে দাড়ালেও তাদের সকলে এজেন্ডা এক, মুসলিম বিরোধীতা ও ইসলাম ধ্বংস। তাই আওয়ামীলীগ-বিএনপি সকল দল থেকে হিন্দুদের প্রার্থীতা বাতিলে জোর দাবি তুলুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment