আজ থেকে ২৩শ’ বছর পূর্বে গণতন্ত্রকে মূর্খের শাসন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছিলো প্লেটো।
প্লোটো কোন দিক লক্ষ্য করে কথাটা বলেছিলো তা আমার জানা নাই,
কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে যে জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, বাস্তবে সে সিস্টেমটাই মূর্খ ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসে।
প্লোটো কোন দিক লক্ষ্য করে কথাটা বলেছিলো তা আমার জানা নাই,
কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে যে জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, বাস্তবে সে সিস্টেমটাই মূর্খ ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসে।
ধরুন, দেশ বা রাষ্ট্র হচ্ছে একটা বড় কোম্পানি।
কোম্পানি সিইও আছে, এমডি আছে, ডিরেক্টর আছে, ম্যানেজার আছে, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারি আছে, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি আছে, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি আছে, কারখানা হলে অসংখ্য শ্রমিক আছে। এখন সবাই মিলে ভোট করলো, কে হবে কোম্পানির প্রধান, যে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাবে সেই হবে। দেখা গেলো কারখানা কোন এক শ্রমিক সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেলো। ব্যাস তাকে বানিয়ে দেয়া হলো পুরো কোম্পানির প্রধান, সে কি এখন কোম্পানি চালাতে পারবে ??
কোম্পানি সিইও আছে, এমডি আছে, ডিরেক্টর আছে, ম্যানেজার আছে, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারি আছে, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি আছে, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি আছে, কারখানা হলে অসংখ্য শ্রমিক আছে। এখন সবাই মিলে ভোট করলো, কে হবে কোম্পানির প্রধান, যে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাবে সেই হবে। দেখা গেলো কারখানা কোন এক শ্রমিক সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেলো। ব্যাস তাকে বানিয়ে দেয়া হলো পুরো কোম্পানির প্রধান, সে কি এখন কোম্পানি চালাতে পারবে ??
বাস্তবে বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারী অফিসে নির্বাচন হয়, কিন্তু সেটা হয় শ্রেণী ভিত্তিক। মানে প্রথম শ্রেণী কমিটি নির্বাচন , দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মচারি নির্বাচন, তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারি নির্বাচন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নির্বাচন। একটা অফিসে যদি শ্রেণী ভিত্তিক নির্বাচন হয়, তবে দেশে কেন সাধারণভাবে নির্বাচন হয়? মানে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারীর ভোটের মান যেখানে একজন নিরক্ষর ব্যক্তির ভোটের মান সমান। দুইজনের বুঝ বা সমঝ বা চিন্তাধারা কি এক ? দুইজন কি সমভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে ?
বর্তমানে এমপি পদে গায়ক, গায়িকা, নায়ক নায়িকা, খেলোয়ারের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে দাড়ানোর মূল কারণ তাদের অনেক লোক চিনে-জানে। ব্যস এতটুকু ?
কথা হলো কি হিসেবে চিনে ?
নায়ক হিসেবে, গায়ক হিসেবে, খেলোয়ার হিসেবে।
কিন্তু আইন প্রণেতা বা এমপি হিসেবে চিনে কি ?
অশিক্ষিত মানুষ তো আইন প্রণেতা আর গায়ক-নায়ক-খেলোয়ারের যোগ্যতার প্রার্থক্য করতে পারে না।
তাই সে যাকে বেশি চিনে, তাকেই সমর্থন দেয়, সে হয়ে যায় এমপি। এমনকি সে যদি শারীরকভাবে প্রতিবন্ধীও হয় তবুও সে নির্বাচনে দাড়াতে পারে (কিছুদিন আগে হাজী সেলিম স্ট্রোক করে বাক ও বুঝ শক্তি হারিয়েছেন, তবুও সে নির্বাচনে দাড়িয়েছে)।
সম্প্রতি সুজন নামক একটি এনজিও এমপি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একটা জরিপ পরিচালনা করেছে। সেখানে তারা দেখিয়েছে আওয়ামীলীগ বা মহাজোটের ৫০% প্রার্থী এবং বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের ৫৮% প্রার্থী হচ্ছে আন্ডার এসএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি পাশ। এরা কেউ স্নাতক পাশ করতে পারেনি।(https://bit.ly/2SkZXyL)
কথা হলো কি হিসেবে চিনে ?
নায়ক হিসেবে, গায়ক হিসেবে, খেলোয়ার হিসেবে।
কিন্তু আইন প্রণেতা বা এমপি হিসেবে চিনে কি ?
অশিক্ষিত মানুষ তো আইন প্রণেতা আর গায়ক-নায়ক-খেলোয়ারের যোগ্যতার প্রার্থক্য করতে পারে না।
তাই সে যাকে বেশি চিনে, তাকেই সমর্থন দেয়, সে হয়ে যায় এমপি। এমনকি সে যদি শারীরকভাবে প্রতিবন্ধীও হয় তবুও সে নির্বাচনে দাড়াতে পারে (কিছুদিন আগে হাজী সেলিম স্ট্রোক করে বাক ও বুঝ শক্তি হারিয়েছেন, তবুও সে নির্বাচনে দাড়িয়েছে)।
সম্প্রতি সুজন নামক একটি এনজিও এমপি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একটা জরিপ পরিচালনা করেছে। সেখানে তারা দেখিয়েছে আওয়ামীলীগ বা মহাজোটের ৫০% প্রার্থী এবং বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের ৫৮% প্রার্থী হচ্ছে আন্ডার এসএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি পাশ। এরা কেউ স্নাতক পাশ করতে পারেনি।(https://bit.ly/2SkZXyL)
বিষয়টি আপনারা যেভাবেই দেখেন, আমার কাছে এটা কিন্তু খুব ভয়ের কথা। কারণ এইসব এমপিদের থেকে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হবে। দেখা যাবে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পাবে একজন আন্ডার এসএসসি, অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পাবে একজন এসএসসি, কিংবা শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পাবে এইচএসসি পাশ কেউ । শিক্ষা সেক্টরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান, অর্থনীতির কঠিন কঠিন সূত্র বা শিল্প মন্ত্রনালয়ের আন্তর্জাতিক মারপ্যাচ তারা বুঝবে কিভাবে ? এই সব অশিক্ষিত মূর্খরা দায়িত্ব নিয়ে একদিকে যেমন উল্টা-পাল্টা কাজ করবে, অন্যদিকে সম্রাজ্যবাদীরা তাদের বুদ্ধি দেয়ার নাম করে খুব সহজেই তাদের দ্বারা দেশ ও জাতিবিরোধী কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে।
আপনারা যাই বলেন, আমি কিছুতেই এই গণতান্ত্রিক সিস্টেমটা পছন্দ করি না। প্লেটো গণতন্ত্রকে যে মূর্খের শাসন বলে অ্যাখায়িত করেছিলো, বাস্তবে আমার কাছে বার বার সেটাই মনে হয়। যোগ্যতা আর পরিচিত মুখ কখনই এক জিনিস না। কোম্পানির দারোয়ানের চেহারা সবাই চিনে, তাই বলে দারোয়ান কখন কোম্পানির প্রধান হতে পারে না। কথাটা শুনতে খারাপ মনে হলেও বাস্তবতা এটাই।
আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। জ্ঞান, বিজ্ঞান, মনন-মানসিকতায় এগিয়ে যাক। কিন্তু সেটার ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে যাদের কাছে আমরা দায়িত্ব দিচ্ছি, তাদের কাছে নিজেদের ড্রাইভার হওয়ার লাইসেন্স থাকা চাই। মনে রাখবেন-“যতদিন মূর্খের হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে বাংলাদেশ”
দাবি: “ উপজেলা চেয়্যারম্যান ও কমিশনার পদে দাড়াতে নূন্যতম এইচএচসি, এমপি/মেয়র হওয়ার জন্য নূন্যতম স্নাতক পাশ হতে হবে।” (সূত্র- ইশতেহার : ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮’-https://bit.ly/2T8iLRK)
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
Ei system purapuri change korte hobe.
ReplyDelete