Tuesday, March 20, 2018

তবে কি বাংলাদেশে জিএমও ফুড আনা হচ্ছে কেমোথেরাপি ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ?


ক্যান্সার কি আদৌ কোন অসুখ ? নাকি ঔষধ কোম্পানিগুলোর ব্যবসার ফাঁদ ?--এ প্রশ্নের উত্তর দিতে , বই লিখেছিলো জি. এডওয়ার্ড গ্রিফিন । তার বইয়ের নাম ‘ওয়ার্ল্ড উইদাউট ক্যান্সার’। বইটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া সত্ত্বেও বইটি অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ বইটিতে তিনি ক্যান্সার নিয়ে ব্যবসা না করে বরং বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে বলেছেন। বইয়ে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্যান্সার নিয়ে ব্যবসা শুরু হয় ব্যাপক আকারে। আর একে পুঁজি করে পশ্চিমা ওষুধ কম্পানিগুলো প্রচুর পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সুতরাং একে একটি ব্যবসার পুঁজিও বলা যায়। (http://bit.ly/2HOfMbu)

উপরের তথ্য থেকে এটা অনুধাবনযোগ্য- ক্যান্সার নামক রোগকে পূজি করে বিরাট ব্যবসা করে নিচ্ছে ঔষধ কোম্পানিগুলো। ক্যান্সারের চিকিৎসাদানের নামে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের নামে তুলে নেয়া হচ্ছে মোটা অর্থ। উল্লেখ্য বর্তমান বিশ্বে ঔষধ কোম্পানিগুলোর ৮০% নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার পরিবার এবং ক্যান্সার চিকিৎসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে।
(http://bit.ly/2HNHoO2,
http://bit.ly/2fDbSYd,
http://bit.ly/1K0llBC,
http://bit.ly/2FO9KeC)

গত কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে, “আমাদেরকে জিএমও ফসলের দিকেই যেতে হবে।”
(http://bit.ly/2u3NlUV)

মতিয়া চৌধুরীর কথার প্রেক্ষিতে একটা কথা বলতে হয়, বাংলাদেশকে কেন জিএমও’র দিকেই যেতে হবে ? শত-সহস্র বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষ জিএমও ফসল খায় নাই বলে কি তারা না খেয়ে মারা গেছে ? তাহলে হঠাৎ করে কেন জিএমও নাম আসতেছে ?

বিজ্ঞানীরা জিএমও ফসলের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক বেরে করেছেন বেশ কয়েক বছর আগেই।
(এটা পড়তে পারেন-http://bit.ly/2prwuGe)।

জিএমও যে ক্যান্সারের জন্য দায়ী, এটা নিয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. এ ফয়েজ এম জামাল উদ্দিন একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন। আর্টিকেলের শিরোনাম ছিলো:
“জিএমও শস্যকে 'না' বলুন : জিএম খাদ্য খেলে ব্রেস্ট, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়”
আর্টিকেলটিতে বলা হয়- “গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, জিএম ফসলের অন্য জীব থেকে ঢোকানো জেনেটিক ইনফরমেশন, মানুষের স্টোমাক ও ইনস্টেস্টাইনের মাধমে হজম হতে পারে না বা কখনো কখনো রক্তের মাধ্যমে সাধারণ ডিএনএ সাথে মিশে যেতে পারে। আচরণের পরিবর্তন আনে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ বেড়ে যায়। এছাড়া সেক্স ক্রোমোজোমে প্রভাব ফেলতে পারে, এতে সেক্স ইনফার্টিলিটি বা বন্ধাত্মতা দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে অতি সমপ্রতি ক্যান্সার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এর পেছনে পরিবেশ দূষণ, অপরিকল্পিতভাবে রাসায়নিক সার, রোগ ও কীটনাশকের অপব্যবহার এবং পানি সরাসরি দায়ী। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে জিএম খাবার।
প্রশ্ন আসতে পাবে ক্যান্সার কেন হয়? আসলে কোনো কারণে যদি দেহের ডিএনএ অর্থাৎ নিউক্লিওটাইড সিকুয়েন্সের কোনো এক বা একাধিক নিউক্লিওটাইডের মিউটেশনে ঘটে গেলে, ওই ডিএনএ খুব দ্রুত অস্বাভাবিক ক্যান্সার সেল তৈরি করতে থাকে। মানুষের দেহের ইমিওন সিস্টেমে ক্যান্সার সেলগুলোকে শনাক্ত করে এবং কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু যদি দেহের ইমিওন সিস্টেম দুর্বল হয় বা ক্যান্সার সেল সংখ্যায় বেশি হলে তখন খুব দ্রুত ক্যান্সার বাড়তে থাকে। আর এ ধরনের মিউটেশন সাধারণত বিষাক্ত টক্সিক রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন প্রকার রেডিয়েশন (এক্সরে, অতিবেগুনী-রে) এবং বায়োলজিক্যাল কারণে। আর এ বায়োলজিক্যাল কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে জিএমও ।” (http://bit.ly/2FMOVAa)

যারা জিএমও’র পক্ষে বলে, তাদের প্র্রধানযুক্তি হলো, “আমেরিকার মানুষ জিএমও খায়। তারা কি মরে গেছে ?”

উত্তর হবে : অবশ্যই তাদের ক্ষতি হয়েছে । খবর নিয়ে দেখুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২০১২ সালে দেশটিতে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ লক্ষ লোক এবং মারা গেছে ৬ লক্ষ। ২০১০ সালে তাদের সরকারিভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যয় ছিলো ১২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ এ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার হবে
(http://bit.ly/2iTYNrX)।

আর্জেন্টিনায় যেসব এলাকায় জিএমও’র ফসলের চাষ হয় তার চর্তুপাশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার দ্বিগুন (http://bit.ly/1pej0ny)

বলাবাহুল্য এই জিএমও বিশেষ করে গোল্ডেন রাইসের পেছনেও কিন্তু রয়েছে এই রকফেলার পরিবারের ইনভেস্ট। ((http://bit.ly/2pqWuBvgoo.gl/GnYdQk))

তারমানে কি সমীকরণ মিলিয়ে বলা যায় না, বাংলাদেশে জিএমও আনার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, যেন মানুষের ক্যান্সার বৃদ্ধি পায়। আর ক্যান্সার বৃদ্ধি পেলে মানুষ ব্যয়বহুল ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণ করবে। জিএমও’র পেছনে রয়েছে রকফেলার পরিবার এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পেছনে রয়েছে রকফেলার পরিবার। মানে তারা সাপ হয়ে দংশন করছে, আর ওঝা হয়ে ছাড়বে। বাংলাদেশে ক্যান্সার যত বাড়বে, রকফেলার পরিবারের ক্যান্সারের ওষুধ তত বিক্রি হবে। এখানে পুরো প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ সরকারের মাধ্যমে। তারা ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের থেকে টাকা খেয়ে পুরো জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

একটি কথা সত্যিই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, ২০১৪-১৫ সালে যখন বাংলাদেশে জিএমও বিটি বেগুন প্রবেশ করে তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অনেক আন্দোলন ও লেখালেখি হয়েছিলো। কিন্তু এখণ প্রায় প্রতিদিন জিএমও গোল্ডেন রাইসের পক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গত ৬ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে গোল্ডেন রাইস নিয়ে এক অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বলেছে, তারা জিএমও ফসল আনবেই। (http://bit.ly/2FOb1lU)

অথচ বেগুনের থেকে চাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেগুন মানুষ কতটুকু খায় ? না খেলেও চলে। কিন্তু চাল তো মানুষকে খেতেই হবে। ফলে চালের ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কিন্তু চালের বিরুদ্ধে ঐ গ্রুপটি আর লেখালেখি করছে না কেন ?

এর একটি কারণ হতে পারে, যারা বিটি বেগুনের বিরোধীতা করেছিলো তারা ছিলো মূলত ছিলো চীনপন্থী। হয়ত ঐ গ্রুপটিকে টাকা দিয়ে মেনেজ করে ফেলেছে জিএমও কর্পোরেটরা। আবার আরেকটি কারণ হতে পারে, ঐ সময় বিটি বেগুন বিরোধী গ্রুপটির নেতৃত্ব দিয়েছিলো ফরহাদ মাজহার। আমরা জানি কিছুদিন পূর্বে ফরহাদ মাজহারকে অজ্ঞাত কারণে গুম করা হয়েছিলো। এমনও তো পারে, ফরহাদ মাজহারকে গুম করে এমন শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছে হয়েছে, “আমরা খুব শিঘ্রই চালের মধ্যে জিএমও করবো, তখন তুমি চুপ থাকবা, কোন বিরোধীতা করতে পারবে না।”


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment