Thursday, June 18, 2020

এন্টিবডি টেস্ট করালে করোনার ক্ষেত্রে সুস্থতা, ইম্যুনিটি, হার্ড ইম্যুনিটি ও মৃত্যু নিয়ে যে মিথ তৈরী হয়েছে তা মুহুর্তেই ফকফকে পরিষ্কার হয়ে যাবে

বাংলাদেশে ৪০% লোকের শরীরে ইতিমধ্যে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়ে থাকতে পারে : অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেছেন, “গত ৩-৪ মাসে অনেক ব্যক্তি লক্ষণহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেকের লক্ষণ ছিলো, আমরা হয়ত ধরতে পারিনি। যার ফলে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত লোক পাওয়া যাবে, যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কোন লক্ষণই প্রকাশিত হয়নি। এবং তারা ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়েছে। ” এন্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে এই লোকগুলোকে খুজে পাওয়া সম্ভব। (https://tinyurl.com/yaduucak)

উল্লেখ্য, সুইডেনও একই কথা বলছে, তাদের ৫০% লোক ইতিমধ্যে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী করে ফেলেছে, যা আগামী মাসের মধ্যে ৬০% এ পৌছাবে এবং তখন হার্ড ইম্যুনিটি তৈরী হবে। তবে এরজন্য তারা এন্টিবডি টেস্টের বিষয় দেখছে।

কিন্তু সমস্যা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার পিসিআর টেস্টের কথাই বলছে কিন্তু এন্টিবডি টেস্ট করাতে মৌখিকভাবে বাধা দিচ্ছে। হু এর বাধা দেয়ার পেছনে তারা যে কারণ উল্লেখ করছে- একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে সাথে সাথে পিসিআর টেস্ট করলে তার সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে। কিন্তু এন্টিবডি টেস্ট এর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট আসবে না। অর্থাৎ এই ৭ দিনের মধ্যে টেস্ট করালে তার রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে, তাই এর কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু এন্টিবডি টেস্টের ভালো দিক হচ্ছে, এর মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে- প্রচুর পরিমাণে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে অথবা সুস্থ হওয়ার পথে।
উল্লেখ্য, এন্টিবডি টেস্ট করাতে মাত্র ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে এবং খুব সহজ পদ্ধতি এবং খরচ নামেমাত্র। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তা করা যাবে। বিএসএমএমইউ করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্স সহকারী সমন্বয় অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, খুবই সহজ টেস্ট এটা। মাঠেই করা যায়। কোনো এক্সপার্টও লাগবে না। অপরদিকে পিসিআর টেস্ট করতে ২ দিন সময় লাগে এবং খুব জটিল পদ্ধতি এবং ব্যয়বহুল এবং মান সম্মত ল্যাব না হলে সেটা করাও যাবে না। (https://bit.ly/3boMmjz)

আমার মনে হয়, হু এন্টিবডি টেস্টে বাধা দিচ্ছে, কারণ-
১) এন্টিবডি টেস্ট করালে বেড়িয়ে আসবে, করোনাকে যে বিরাট এক দৈত্য বলে প্রচার করা হয়েছে তা আসলে ভুয়া। কারণ বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে, কিন্তু টেরই পায়নি।
২) যাদের শরীরে পর্যাপ্ত এন্টিবডি আছে, তাদের রক্ত নিয়ে প্লাজমা থেরাপী দেয়া যাবে, ফলে করোনায় কিছু লোকের মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে যে ভীতি তৈরী হচ্ছিলো, সেটা নেমে আসবে।
৩) যদি সত্যিই বেড়িয়ে আসে, এখন বাংলাদেশে ৪০% লোকের শরীরে এন্টিবডি আছে, তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ৬০% এ পৌছাবে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করা কোন ব্যাপার না। এটা যদি পাবলিক বুঝে যায় তবে ভ্যাকসিন কোম্পানি বা এন্টি ভাইরাল ড্রাগ বা ভেনটিলেটর কোম্পানিগুলো যে বিরাট ব্যবসার ধান্ধা করেছিলো সেটাও মাঠে মারা যাবে।
৪) করোনা নিয়ে অতি প্রচারের পেছনে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদীদের কিছু প্ল্যান আছে, সেগুলো তার করতে পারবে না।
৫) লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্স বাস্তবে এগুলোর যে কোনগ যে ভোগাস সিস্টেম তা পাবলিকের নজরে চলে আসবে।
[জাফরুল্লাহসহ অনেকেই এন্টিবডি টেস্ট কীটের কথা বলেছিলো, এ কারণবশতঃ সম্ভবত সেটা এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ]

সোজা ভাষায় এন্টিবডি টেস্ট করালে করোনার ক্ষেত্রে সুস্থতা, ইম্যুনিটি, হার্ড ইম্যুনিটি ও মৃত্যু নিয়ে যে মিথ তৈরী হয়েছে তা মুহুর্তেই ফকফকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাবলিক তখন বুঝতে পারবে, করোনা নিয়ে এতদিন তাদের সাথে যা করা হয়েছে সব ধোকা। এজন্য সম্ভবত হু করোনার জন্য এন্টিবডি টেস্টের অনুমতি দিতে চায় না।

0 comments:

Post a Comment