Tuesday, August 7, 2018

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, তার দ্রুত সুচিকিৎসা দরকার

গতকাল প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে পুলিশ আর ছাত্রলীগের সম্মিলিত হামলার পর আমার ধারণা ছিলো, আওয়ামীলীগের মধ্যে আবার কোন থার্ডপার্টি ঢুকে পড়েছে নাকি, যারা এমনটা করে গোলযোগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু খবর নিয়ে অবাক হলাম, এই হামলার বিষয়টি নাকি সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো।
আমি একটা জিনিস বুঝি না, শেখ হাসিনা এত ভীত কেন ?
তার রিয়্যাক্ট কি মাত্রাতিরিক্ত হচ্ছে না ?
ছোট বাচ্চারা রাস্তায় নেমেছে আন্দোলন করতে,
যদি তিনি ধারণা করেন, কেউ তাদের মাঠে নামিয়েছে, তবে পেছনের লোকগুলোর তো উদ্দেশ্যই ছিলো পুলিশ বা ছাত্রলীগ যেন তাদের উপর হামলা করে। সেই হামলাটাই ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় চাওয়া। কারণ হামলা করলেই ফুল পাবলিক সেন্টিমেন্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলে যাবে। এটা একটা ছোট বাচ্চাও বোঝে। কিন্তু শেখ হাসিনা বোকার মত সেই কাজটাই করে বসলো।
আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম, তবে আমি নিজেই ছাত্রদের সাথে মাঠে নামতাম। আর গাড়ির লাইসেন্স চেক করতাম। আন্দোলনের নেতৃত্ব অন্য কেউ নেবে কেন ? আমি নিজেই নিয়ে নিতাম। কিন্তু শেখ হাসিনার ব্যবহার যেন ঠিক সতীনের মত। হিংসুটে। যে ছাত্রগুলো আন্দোলনে নামলো, তিনি তাদের বন্ধু না বানিয়ে পিটিয়ে শত্রু বানিয়ে দিলেন। স্কুল-কলেজের এই বিরাট ছাত্র সমাজ যতদিন বাচবে ততদিন তারা আওয়ামীলীগকে চিনবে জানের শত্রু হিসেবে।
তিনি একবারও ভাবলেন না, যে পুলিশ-আর্মি আর প্রশাসনের উপর তিনি ভরসা করে আছে, এই ছাত্ররা হয়ত কোন পুলিশ আর্মি বা প্রশাসন কর্তারই ছেলে-মেয়ে। সরকারী চাকুরেদের বেতন যতই ডবল করে দেন, ছেলে-মেয়ের গায়ে হাত তুললে কোন বাবা-মাই পছন্দ করবে না।
কোটা আন্দোলনের সময়ও একই ঘটনা, কোটা নিয়ে তিনি এক মুখে দুই কথা বললেন। এরপর ছাত্রলীগ দিয়ে ছাত্রদের পিটিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করালেন। অথচ কোটা আন্দোলনকারীদের কিছু কিছু দাবী মেনে তিনি পুরো পরিস্থিতি শান্ত করে দিতে পারতেন। কিন্তু করলেন উল্টোটা। এতো গেলো পাবালিক ভার্সটির উপর আক্রমণ, এখন আবার আক্রমণ হানছেন প্রাইভেট ভার্সিটির উপর। যেন সমাজের কোন সেক্টরই বাদ না যায়, শেখ হাসিনার থাবা থেকে।
শেখ হাসিনার আচরণটা হচ্ছে ঠিক সাপের মত। সাপ কিন্তু আক্রমণ করার জন্য ছোবল মারে না, সে ভয় পায়, বোধহয় তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে, সেই ভয় থেকেই ছোবল মারা। শেখ হাসিনার অবস্থা হয়েছে একইরকম, এখন তিনি সবাইকেই শত্রু ভাবছেন। এজন্য সবাইকে ধরে ধরে পিটাচ্ছেন। এতদিন বলতেন বিএনপি-জামায়াত তার রাজনৈতিক শত্রু, কিন্তু এখন পুরো দেশের জনগণকে তিনি শত্রু বানিয়ে ফেলেছেন, পিটাচ্ছেন। এটা কিন্তু এক ধরনের মানসিক রোগ, যার নাম ‘সিজোফ্রেনিয়া’। এই মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগী সব সময় ভাবে, সবাই তার শত্রু, সবাই তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে !
কথা হলো-
একজন মানসিক রোগী কি দেশ চালানোর জন্য উপযুক্ত ?
তিনি তো সবাইকে শত্রু ভাবছেন।
এক শত্রু তো অন্য শত্রুর কখনই ভালো চাইতে পারে না,
জনগণ যেহেতু শেখ হাসিনার শত্রু, তাই তিনি কখনই জনগণের ভালো চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক।
আমার মনে হয়, শেখ হাসিনার মানসিক সু-চিকিৎসা করা জরুরী। সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন বা আমেরিকার মানসিক হাসপাতালগুলোতে ভালোমানের সাইক্রিয়াটিক ট্রিটমেন্ট হয়। তিনি সেখানে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করা যায় বছর খানেক চিকিৎসা নিলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment