Thursday, June 18, 2020

করোনা কি আমাদের অমানুষ বানিয়ে দিলো ?


অনেককে দেখলাম, গতকালকে ফেরিপারাপারের ভীড়ের ছবিকে আপলোড করে এই মানুষগুলোকে গালাগালি করছে। কেউ শুওরের বাচ্চা, কুক্তার বাচ্চা বলতেও দ্বিধা করতেছে না।

যারা এই গালিগুলো দিচ্ছেন, তারা মানুষের ভীড়কে উপলক্ষ করেই দিচ্ছেন,
কিন্তু মানুষগুলো যে কি অবর্ণণীয় কষ্ট করছে, সেটা তারা দেখতে পারছেন না।

আমি দেখেছি, মিডিয়াতে প্রায় একটা কথা বলে, দেখুন মানুষ কিভাবে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আসলে মানুষ কিন্তু অপ্রয়োজনে ঘুড়ে বেড়ায় না, অবশ্যই তার কোন না কোন প্রয়োজন আছে,
কার দরকার এত কষ্ট করে প্রয়োজনে ভীড় ঠেলে যাওয়ার?
কিন্তু সে এমন কোন কঠিন সিচ্যুয়েশনে পড়েছে, যার কারণে সে যেতে বাধ্য হচ্ছে । আর বাংলাদেশে মানুষের ঘনবসতি বলে যদি অল্প সংখ্যক মানুষের জরুরী প্রয়োজন থাকে, তবে সেটাই দেখতে অনেক বেশি মনে হয়।

কথা হচ্ছে, ঈদে কিছু মানুষের জরুরী প্রয়োজন থাকতেই পারে,
সব প্রয়োজন লিখে শেষ করা যাবে না,
এজন্য উচিত ছিলো কিছুটা হলেও গণ পরিবহন চালু রাখা।
কিন্তু যাদের প্রাইভেট গাড়ি আছে, তারা গণ পরিবহনের গুরুত্ব বুঝতে পারে না।
ঢাকা শহরে দেখুন, প্রাইভেট গাড়িগুলো কিন্তু প্রতিদিনই এখন মোড়ে মোড়ে যানজট তৈরী করছে,
কিন্তু সমস্যা হইলো গরীবের গণ পরিবহণ নিয়ে। জোর করে তারা গরীবের উপর কষ্ট চাপিয়ে দিচ্ছে।

ছবিতে দেখুন, একজন পিতা কত কষ্ট করে একটা ৬ মাস বয়সী শিশুকে উপরে তুলে রেখেছেন।
এত গরমে, এত ভীড়ে কত মানুষ যে কত কষ্ট করছে, তার কোন শেষ নেই।
অথচ আমরা এসি প্রাইভেট গাড়িতে ঘুরে, এসি রুমে বাপ-মা’র সাথে বসে ফেসবুকে তাদের কুক্তার বাচ্চা-শুয়রের বাচ্চা বলে গালি দিতে ভুল করছি না।

আসলে, একটা কথা আমি আগেও বলেছিলাম এখনও বলছি-
ছোয়াছে বিশ্বাস মানুষকে স্বার্থপর ও অমানুষ বানিয়ে দেয়। এর বহু উদাহরণ গত ২ মাসে দেখা গেছে। আজকে যারা ফেসবুকে এসব ছবি দেখে গালাগালি করছে, তারা ঐ শ্রেনীর লোক। তাদের বিশ্বাস এই ভীড়ের মধ্যেই করোনা ছড়াচ্ছে, তাই লোকগুলোর কষ্ট বা প্রয়োজন তারা দেখতে পাচ্ছে না, তারা তাদের স্বার্থপরতা ও অমনুষ্যত্ব প্রকাশ করতেই তারা বেশি ব্যস্ত।

ইথোফেন বা কার্বাইড দিয়ে আমরা পাকালে তা বিষাক্ত হয় না।

কলাবিজ্ঞানী মানে আর্টস বা মানবিক বিভাগে পড়া বিজ্ঞানীদের কাজ,
যার বিরুদ্ধে আমি বহু বছর ধরেই সোচ্চার।
গতকাল রাজধানীর বাতামতলী কলাবিজ্ঞানীদের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ৪০ টন আম জব্দ করেছে, ৪১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। (https://bit.ly/2Wq61e1)

তাদের দোষ তারা কার্বাইড দিয়ে আম পাকিয়েছে।
খবরের শিরোনাম নিশ্চয়ই দেখছেন- “করোনার মধ্যেও ফলে বিষ দিচ্ছে তারা!”
অথচ কলাবিজ্ঞানীরা জানেই না, কার্বাইড দিয়ে কিভাবে আম পাকায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে পাকানোর সাথে এর কোন পার্থক্য নেই। ফলে এখানে বিষাক্ত কিছুই নেই।
এটা নিয়ে অনেকবার বিশেষজ্ঞরা বলেছে,
ইথোফেন বা কার্বাইড দিয়ে আমরা পাকালে তা বিষাক্ত হয় না।
(https://bit.ly/3fHLyJg)

কিন্তু কে শোনে কার কথা ?
করোনা নিয়ে যেমন কলাবিজ্ঞানীরা গো ধরে বসে আছে,
আম নিয়ে গো ধরে বসে আছে।
এ্ কলাবিজ্ঞানাদের বুঝাবে কে ?
অনেক ফলই এমনভাবে বাইরে থেকে কৃত্তিমভাবে পাকানো হয়,
এতে বিষাক্ত কিছুই হয় না।
কৃষিবিদ্যায় এটা বহু আগে থেকে স্বীকৃত।

হ্যা যে আম কিনবে সে তো, টেস্ট করেই কিনবে।
আমের দাম তো ফিক্সড নেই।
আপনি যদি গাছপাকা আম কিনতেই চান, তবে আরো অপেক্ষা করুন।
আরেকজনের ব্যবসা কেন নষ্ট করছেন ?
একজন ব্যবসায়ীকে ধ্বংস করা মানে তার অধীনে যতগুলো লোক চাকুরী করে সবাইকে বেকার বানানো।

কি বলবেন ? তারা মানুষকে ধোকা দিচ্ছে ?
এসব আমে পুষ্টিগুন নেই। ইত্যাদি।
কেন আপনারা কি পুষ্টিগুন টেস্ট করেছেন ?
আমে স্ট্যান্ডার্ড পুষ্টির মাত্রা কত ?
টেস্ট করে দেখেন, যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কম পুষ্টিগুন থাকে, তখন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, এর আগে মিথ্যা বিষাক্ত ট্যাগ দিয়ে ধ্বংস করছেন কেন ?

আর স্ট্যান্ডার্ডের তুলনা করলে বলতে হয়-
-ব্র্যাকের আড়ং যে দুধ বিক্রি করছে, সেখানে কত পার্সেন্ট দুধ আছে?
-ইউনিলিভারের লাক্সে যে গোলাপের ছবি দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে কি সত্যিই গোলাপ মিশ্রিত আছে?
-প্রথম আলো ৯ মে তারিখে ট্রান্সকমের এসকেএফের রেমডেসিভিরকে যে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেব প্রচার করলো তার শাস্তি কোথায়?
র‌্যাবের সারোয়ার আলম তখন কেন অভিজান করলো না?
মাহবুব কবির মিলন সেটা নিয়ে কেন কোন স্ট্যাটাস দিলো না ??
আসলে আইন ও নিয়ম হচ্ছে শুধু গরীবের বেলায়।
যারা উপর তলা বা নিজেদের লোক তাদের জন্য মিডিয়াও নেই, আইনও নেই।

উল্লেখ্য লাক্স-আড়ং এর জামা কিংবা রেমডিসিভিরের দাম কিন্তু ফিক্সড, সেখানে দরদামের সুযোগ নাই, কিন্তু আমে দরদাম করার সুযোগ আছে। আবার ঐ কোম্পানিগুলো কিন্তু প্রকাশ্যে মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়, কিন্তু আমওয়ালা কিন্তু বিজ্ঞাপন দেয় না। যারা প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফিক্সড প্রাইজ করতেছে, তাদের তো আগে ধরা উচিত।

উল্লেখ্য এর আগে মিডিয়া ফরমালিন গুজবে রটিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে ৪০ হাজার টন মাছ-ফল ধ্বংস করে বহু সাধারণ ব্যবসায়ীকে পথে বসায়। পরে প্রমাণ হয়, ঐ মেশিনেই সমস্যা ছিলো। (https://bit.ly/3fDbQfA)

আসলে মানুষ এসব কলাবিজ্ঞানীদের কথা শুনে ভাবে- মনে হয় অনেক উপকৃত হচ্ছে,কিন্তু কলাবিজ্ঞানীদের আলটিমেট লক্ষ্য জনগণের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা।
তারা এর নাম দিয়েছে ‘প্ল্যানড ইকোনোমি’।
শুনতে কথাটা সুন্দর। কিন্তু কথিত প্ল্যানের নামে তারা সাধারণ ব্যবসায়ীদের ফেলে দিয়ে শুধু নিজেরা ব্যবসা করবে।
অর্থাৎ তারা হবে মালিক, আর বাকিরা হবে তাদের চাকুরে বা চাকর।
অন্য কোন মালিককে তারা সহ্য করবে না।

রীক্ষার হারের তুলনায় সনাক্তের হার কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে একই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণের হার যদি খেয়াল করেন,
তবে দেখবেন দীর্ঘদিন কিন্তু তা একই মাত্রায় রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ যে খুব লকডাউন-সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনেছে তা নয়,
কিন্তু তারপরও পরীক্ষার হারের তুলনায় সনাক্তের হার কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে একই।
অর্থাৎ যে হারে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই অনুপাতেই করোনা ধরা পড়েছে,
খুব বেশি তার পরিবর্তন হয় নাই।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ১১৬৯১৯টি
এবং সনাক্ত হয়েছে ১৩৭৭০ জন।
অর্থাৎ শতকরা হিসেবে দাড়াচ্ছে ১১% বা ৯ জনের পরীক্ষায় ১ জন করোনা ধরা পড়েছে।
এই গড় হিসেবটা কিন্তু বহুদিন ধরে প্রায় একই রয়েছে, বৃদ্ধি পায়নি।

কথা হচ্ছে, মানুষকে শেখানো হচ্ছে-
বাংলাদেশে গার্মেন্টস খুললে করোনায় লাশের স্তুপ পড়বে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জানাজায় জমায়েত হলে লাশের স্তুপ পড়বে,
মসজিদ খুললে করোনার লাশের স্তুপ পড়বে,
শপিং কমপক্স খুলরে লাশের স্তুপ পড়বে,
গণ পরিবহন খুললে লাশের স্তুপ পড়বে,
এগুলো ফালতু ও প্রমাণ বিহীন কথা ছাড়া কিছু নয়।

বরং সব কিছু খুলে স্বাভাবিক করে দেন,
কেউ করোনায় আক্রান্ত হোক আর না হোক,
তাকে ঠিক মত চিকিৎসা নিতে দেন,
আতঙ্ক হ্রাস করুন, যাতায়াত সহজ করুন।
তখন দেখবেন- এখন দেশে যে মৃত্যু হচ্ছে (করোনা বা করোনা ছাড়া)
তা আরো কমে আসবে।
কারণ যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ, হাসপাতাল চিকিৎসাহীন,
আতঙ্কে মানসিক সমস্যা বৃদ্ধির কারণেই বরং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

কয়েকদিন আগে সুইডেন সরকার একটা নির্দেশনা জারি করেছিলো,
নির্দেশনাটা ছিলো-
ডাক্তাররা যখন করোনা রোগীর কাছে যায়, তখন তারা মুখের সামনে এক ধরনের স্বচ্ছ প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে । ডাক্তাররা আগে এই প্ল্যাস্টিকের শিটের ভেতর আবার মাস্ক পড়তো।
নির্দেশনায় বলা ছিলো- যেহেতু প্লাস্টিকের শিট আছে, তাই মাস্কের কোন দরকার নাই।
কারণ ডাক্তার মাস্ক পড়লে রোগী আরো বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হবে, যা রোগীর জন্য ক্ষতিকর।

এখানে কিন্তু আমাদের জন্য শিক্ষা আছে।
করোনা নিয়ে আমাদের আতঙ্ক হ্রাস করতে হবে।
কিন্তু আতঙ্কবাদীরা শুধু আতঙ্কই তৈরী করতে চাচ্ছে,
অমুক হইলে লাশের স্তুপ পড়বে, তমুক হইলে লাশের স্তুপ পড়বে।
কিন্তু জনসমাগম হইলেই যদি লাশের স্তুপ পড়তো, তবে বাংলাদেশ হইতো সবচেয়ে বেশি লাশের স্তুপের দেশ। বস্তিগুলোতে আপনি লাশের স্তুপ গুনে শেষ করতে পারতেন না। কিন্তু তার কিছুই হয়নি বাংলাদেশে।

তাই অযথা আতঙ্ক তৈরী না করে সব স্বাভাবিক করুন,
বিশেষ করে গণ পরিবহণ চালু করে, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করুন,
মানুষের কষ্ট লাঘব করুন।

ব্র্যাকের আড়ং, ইহুদী বহুজাতিক বাটা কিংবা এমপির এপেক্স কিন্তু বন্ধ নেই

আমি অনেক অগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম-
“তুমি বন্দি আমি মুক্ত”
মানে যারা আমাদের বন্দি হতে শিখাচ্ছে, তারা কি নিজেরা বন্দি হয়েছে ?
মিডিয়া সরকার রাজনৈতিক দল কিংবা প্রশাসন ?
না হয়নি। তারা তাদের কাজ চালিয়ে গেছে।
এবং দিন শেষে দেখবেন, আমি-আপনি বন্দি হয়েও স্বাস্থ্যগত যতটুকু ক্ষতি হয়েছি,
তারাও ঠিক ততটুকু ক্ষতি হয়েছে।
কিন্তু আমরা নিজেদের বন্দি রেখে যতটুকু অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হয়েছে,
তারা কিন্তু তার থেকে বহুগুনে লাভবান হয়েছে ।

আজকে বিভিন্ন দোকান মালিক সমিতিকেও ভয় দেখিয়ে হয়ত মার্কেট বন্ধের ঘোষণা নেয়া হচ্ছে,
কিন্তু মিডিয়ার নেটওয়ার্কের
ব্র্যাকের আড়ং, ইহুদী বহুজাতিক বাটা কিংবা এমপির এপেক্স কিন্তু বন্ধ নেই।
তারা কিন্তু তাদের ঈদের ব্যবসা ঠিকই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বোকা দোকান মালিকরা ভরা মৌসমে বরং দোকান বন্ধ রাখরে তাদের বিক্রি আরো বাড়বে।

আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি-
আমাকে কেউ একটি পলিসি দিচ্ছে, কিন্তু সে নিজের মধ্যে সেটা বাস্তবায়ন করছে কি না, সেটা আগে দেখা উচিত। দেখা গেলো, সে আমাকে আমাকে বলছে এক রকম, কিন্তু তার বাস্তব জীবনে সে ঐ রকম করতেছে না। তারমানে তার নিজের দেয়া পলিসির মধ্যে ঘাপলা আছে, নয়ত সে নিজেই তার জীবনে সেটা পালন করতো।

বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স কি উদ্দেশ্য নিয়ে দোকান বন্ধ করছে তা আমার জানা নাই, কিন্তু মিডিয়ার মত মাফিয়ার খপ্পরে পড়ে যদি করে তবে সিদ্ধান্ত ভুল হবে, সঠিক হবে না কখন।

খবরের সূত্র: https://bit.ly/3fywZr6

বাস্তব কোভিড যোদ্ধা হচ্ছে মানুষের শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

কোভিড-১৯ এ প্রথম ১০০ জন মৃতের বয়সের চার্ট করেছে আইইডিসিআর।

সেখানে ১০০ জন মৃতের মধ্যে ৫ জন হচ্ছে ০-৩০ বছর বয়সী।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে ০-৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০%।
আবার কোভিড-১৯ (Ro- ২.২) এর ক্ষেত্রে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করতে প্রয়োজন ৬০% লোকের।
তাই জেনারেশন জেড এর আধিক্যের দেশ বাংলাদেশে হার্ড ইম্যুনিটির জন্য যদি তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসে, তবে তাদের মৃত্যুর হার মোট মৃত্যু হারেরও ১০০ ভাগের তুলনায় মাত্র ৫ ভাগ হবে।
আপনারা জানেন,
কোভিড-১৯ এ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মিলিয়নে মৃত্যু মাত্র ১ জন।
তাহলে তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রে তার হিসেব গিয়ে দাড়াবে প্রতি ১০ কোটিতে ৫ জন।

আরেকটি বিষয়-
আইডিসিআর এর হিসেবে ১০০ জন মৃত্যুর মধ্যে ৭৩% হচ্ছে পুরুষ, এবং ২৭% হচ্ছে নারী।

আচ্ছা বলুন তো পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যুর হার এত কম কেন ?
আমি জানি, লকডাউনের পক্ষের লোকেরা বলবে, “নারী পুরুষের তুলনায় বাইরে কম ঘুরে তাই।”

আসলে বিষয়টি তেমন না।
মূলত নারীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় বেশি।
তাই পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যুর হার অনেক কম।
যদিও নারী ফিজিকাল কন্ডিশন পুরুষের তুনলায় দৃশ্যত্ব দুর্বল।

এখানে দুটি জিনিস প্রমাণ হয়
এক, বাস্তব কোভিড যোদ্ধা হচ্ছে মানুষের শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই।
দুই, বাহ্যিক ফিজিকাল কন্ডিশন দেখে আসলে কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করা যায় না।

যদিও একদল কলাবিজ্ঞানী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ‘ভ্রম’/আলাউদ্দিনের দৈত্য এবং দৃশ্যত্ব দুর্বল-সবল দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিচার করে ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে থাকে।

পঙ্গপাল - ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের পরিবেশবাদী উপদলের ইস্যু

কয়েকদিন আগে এক স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম, সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোল ২০৩০ (এসডিজি) এর অনেকগুলো পয়েন্ট হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের পরিবেশবাদী উপদলের ইস্যু। এ কারণে তারা বিভিন্ন পরিবেশবাদী ইস্যুগুলোকে হাইলাইট করবে এবং তার মাধ্যমে তাদের অনেক প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে। বলেছিলাম- করোনা ভাইরাসের নামে লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এগুলো হচ্ছে তাদেরই চাপিয়ে দেয়া বিষয়।

তবে পরিবেশবাদীরা একটা বিষয় নিয়ে কখনই থেমে থাকবে না, নিত্য নতুন ইস্যু তারা তৈরী করে রাখবে নিশ্চিত। সম্প্রতি টেকনাফে কথিত পঙ্গপাল সদৃশ্য পোকা পাওয়া গেছে টাইপের নিউজ নিয়ে বিবিসি, ডয়েচে ভেলের মত ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের মিডিয়ার অত্যন্ত লাফালাফি, অতঃপর সেই পোকা দেখতে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের ফিল্ডে যাওয়াকে আমার কাছে সুবিধার মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশে এ রকমের বহু পোকাই আছে, কিন্তু এবারে কথিত পোকা দিয়ে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে মাখামাখি বিশেষ কোন কাজের অংশকেই ইংগিত করে।

আমার ধারণা হচ্ছে, ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের পরিবেশবাদী উপদল এই কথিত পঙ্গপালকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক তৈরী করতে চাচ্ছে এবং সেটাকে কেন্দ্র করে তাদের নতুন কোন কার্যক্রম বা পলিসি জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজনে তারা তাদের পলিসিকে আইন করার জন্য সরকারকে চাপ দিবে এবং প্রশাসনের অস্ত্র দিয়ে সেই আইন জনগণের উপর প্রয়োগ করতে বাধ্য করবে। জনগণ তাদের পলিসি পালন করলে ডেমোক্র্যাটিকদের ব্লকের রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক উপকার হবে, কিন্তু বাস্তবে জনগণের কোন উপকার হবে না, বরং ক্ষতি হবে।
আমার মনে হয়, ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের পরিবেশবাদী উপদলের ষড়যন্ত্রগুলো থেকে এখনই সচেতন থাকা খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।

লকডাউন/শ্যাটডাউনের সাথে করোনা মহামারী হওয়ার কোন সম্পর্কই নাই

-লকডাউন তুলতে চান ?
লকডাউন উঠালে যদি করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় ?
-তারমানে লকাডাউনের (আসলে শ্যাটডাউন) কারণে কি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ?
গ্রাফ তো বলছে যে অনুপাতে টেস্ট বেড়েছে, প্রায় সে অনুপাতেই রোগী সনাক্ত হয়েছে (আক্রান্ত নয়, বরং আক্রান্তদের মধ্য থেকে সনাক্ত),
আর মৃতের সংখ্যাও স্ট্যাবলই রয়েছে।
লকডাউন/শ্যাটডাউনের আগে যা ছিলো পরে প্রায় তাই আছে, খুব বেশি পার্থক্য হয় নাই।

যখন ইতালি, স্পেন, আমেরিকায় প্রচুর লোক মারা যেতে থাকলো, তখন আমি বলেছিলাম,
আপনারা শীতের দেশ (৩০ ডিগ্রি ল্যাটিচিউডের উপরে) গুলোর সাথে বাংলাদেশের তুলনা দিয়েন না,
নিচের দেশগুলোর সাথে তুলনা দেন, নিচের দেশগুলোতে করোনা যেমন হবে,
বাংলাদেশেও তেমন হবে।
এখন পর্যন্ত কিন্তু নিচের দেশগুলোর মতন করেই কিন্তু বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কথা হলো- এই যে বাংলাদেশে যতটুকুই নিয়ন্ত্রণে আছে (মানে স্পেন-ইতালি-আমেরিকার মত মহামারী হয় নাই),
এর কৃতিত্ব কি লকডাউন/শ্যাটডাউনের ?
নাকি আবহাওয়া জনিত কারণে ?
৩০ ডিগ্রি ল্যাটিচিউডের নিচের দেশগুলোর আবহাওয়া অনুসারে যেমন হওয়ার কথা তেমনই তো হইছে।
৩০ ডিগ্রি ল্যাটিচিউডের উপরের দেশগুলো তো লকডাউন/শ্যাটডাউন দিয়েও তাদের মহামারী ঠেকাইতে পারে নাই।
তাহলে লকডাউন/শ্যাটডাউনের কৃতিত্ব কোথায় ?
বাংলাদেশে যতটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে (মহামারী হয় নাই) সেটা কৃতিত্ব আবহাওয়া জনিত কারণে,
লকডাউন/শ্যাটডাউনের না। যদি লকডাউন/শ্যাটডাউন দিয়ে মহামারী ঠেকানো যেতো তবে স্পেন/ইতালি/আমেরিকা তা আগে ঠেকাতে পারতো।

সোজা ভাষায়-
লকডাউন/শ্যাটডাউন তুললে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ লকডাউন/শ্যাটডাউনের সাথে করোনা মহামারী হওয়ার কোন সম্পর্কই নাই।
কিন্তু তারপরও একটা বিশেষ শ্রেণী চোখ-মুখ বুজে অন্ধের মত লকডাউনের পক্ষে বলেই চলেছে।
আশ্চর্য এদের চিন্তাধারা ! আশ্চর্য এদের মূর্খতা !